আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যারা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন খুলে পাহাড় সমান দুর্নীতি আর লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল, দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগাপ্রকল্পসমূহ তাদের গাত্রদাহ সৃষ্টি করবে সেটাই স্বাভাবিক। বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, গত এক যুগেরও বেশি সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড় সমান প্রতিবন্ধকতা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নয়, দেশের শতকরা ২৯ ভাগ পরিবারের মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় কোনো না কোনো ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের মনে রাখা উচিত, তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভীত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোনোদিন ৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে ছিল না। দেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল সর্বোচ্চ, যা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বর্তমান সঙ্কট বৈশ্বিক সঙ্কট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ যাতে এই সঙ্কটের অভিঘাতে জর্জরিত না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার সামনের সঙ্কট মোকাবেলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোনো সঙ্কটই মোকাবেলা করা কঠিন নয়।