রেলের কালো বিড়াল চলে গেলেও দুর্নীতি রয়েছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটপাট, রেলের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতিবাদ করছে দীর্ঘদিন ধরে। সে কারণে সবার কাছে রেলের কালো বিড়াল নিয়ে সবাই সরব। রেলের কালো বিড়াল চলে গেছে কিন্তু দুর্নীতি থেকে গেছে। এ অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে মানুষ প্রতিবাদ করছে।
দেশের সক্ষমতার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এই সরকার উন্নয়নের মিথ্যা ঝুনঝুরি বাজাচ্ছে, ভাঁওতাবাজির উন্নয়নকে দেখাচ্ছে। সরকার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ তারা রফতানি করবে। তাহলে তো আমাদের বিদ্যুৎ সঙ্কট হওয়ার কথা না, তারপরও হচ্ছে। কারণ এই যে ভাওতাবাজির হিসাব তার কারণে হচ্ছে। গোঁজামিলের উন্নয়ন হচ্ছে সরকারের মাফিয়া ও লুটেরাদের।
নুর বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে, কুইক রেন্টালে লুটপাট হওয়ার কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। পাচ্ছে সরকারের মাফিয়া ও লুটেরারা, যারা আগামী নির্বাচনে কালোটাকা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে।
বিদ্যুতের প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে আছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ২০-২১ সালে তাদের লাভ ১১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। মানে তাদের যে লোকসান দিতে হচ্ছে সেটা ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে। এই টাকা যাচ্ছে লুটেরা-মাফিয়াদের পকেটে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১০ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা তাদেরকে দিয়েছে। এখন গোঁজামিলের এ উন্নয়ন বাংলাদেশের জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু রেল ও বিদ্যুৎ খাতে নয়, প্রত্যেকটা সেক্টরে এ দুর্নীতি। সরকারি পরীক্ষায় পাশ করলে তদন্তের নামে বাদ পড়ছে, যারা সরকারি দলের সদস্য তাদের চাকরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ অন্যরা।