কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে দাম বাড়িয়ে আমদানির ব্যবস্থা করছে। বাধা দিলে তখন এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। সরকার এটা বন্ধ করার চেষ্টা করছে।’
বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর সময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ডলার সংকট শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। এবছর রেমিটেন্স বাড়বে, রপ্তানি আয় বাড়বে।’
অর্থমন্ত্রী গত সপ্তাহেই বলেছিলেন- আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়া হচ্ছে না বা চাওয়ার মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু গত রোববার অর্থ বিভাগ থেকে আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দিয়ে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।
তাহলে দেশের অর্থনীতিতে কি হঠাৎ করেই কোনো চাপ সৃষ্টি হয়েছে নাকি অর্থমন্ত্রী এ প্রসঙ্গটি লুকাতে চাচ্ছিলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। সরকার যদি ডিমান্ড এক্সপোজ করে দেয় তাহলে সবাই চাহিদাটা জানতে পারবে। তখন ঋণের শর্ত সুদ নিয়ে দর কষাকষিতে সরকার শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে না। সেজন্য এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। আইএমএফ কী শর্ত দেয় সেগুলো দেশের পক্ষে যায় কি না, উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না সেসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘৬ ও ৯ শতাংশ সুদহারের কারণে দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। এই সুদহার করা না হলে করোনার সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যেত। খুঁজে পাওয়া যেত না। ফলে এটি অনেক ভালো সিদ্ধান্ত। এতে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। বেসরকারি খাতও ভালো আছে। আইএমএফ বললেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে যাবে তেমন নয়। তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন দরকার হলে সরকার তা করবে।’