রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধ সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এর জন্য জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। বিশ্ব সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ। এসময় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশে তার দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে পুঁজি করে সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেই সফর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পায়নের ওপর জোর দিচ্ছে।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। খোদজায়েভ বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই।’ তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ শেখ হাসিনাকে উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভের শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিয়েভকেও শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে তার সুবিধামত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সূত্র : বাসস