বোলিং প্রান্তে বেশ ভালো থ্রো এসেছিল। সেই বল ঠিকঠাকই ধরতে পেরেছিলেন বোলার ওবেদ ম্যাককয়। রান নিতে থাকা রবীচন্দ্র অশ্বিন তখনো অনেকটা দূরে। তবে তাতে কি? ক্যারিবিয়ান পেসার স্টাম্পে বল লাগাতেই ভুলে গেলেন! ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টি-টোয়েন্টির এই ঘটনা ম্যাচে প্রভাব না ফেললেও জন্ম দিয়েছে আলোচনার।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ফিফটি আর দীনেশ কার্তিকের ঝড়ে ১৯০ রান করে ভারত। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্রেফ ১২২ রানে আটকে ম্যাচ হারে ৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তবে এই ম্যাচের একটি ঘটনা ক্রিকেট ভক্ত সমর্থকদের মাঝে তৈরি করেছে হাস্যরস আর কৌতূহল। ভারতীয় ইনিংসের ১৭তম ওভারের ঘটনা। ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে থাকা ভারত বড় রানের খুঁজে।
কার্তিক সোজা ব্যাটে খেলেই ডাক দেন দুই রানের। প্রথম রান ঠিকভাবে নিতে পারলেও দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে অশ্বিন ছিলেন বেশ পিছিয়ে। তখন থ্রো চলে আসে বোলিং প্রান্তে। সেটা ধরেও স্টাম্পে লাগাতে পারেননি ম্যাককয়। তার হাতের কাছে স্টাম্প থাকলেও সেটা তিনি বেমালুম ভুল করে বসেন।
তখন ৬ বলে ৫ রানে ব্যাট করছিলেন অশ্বিন। পরের ওভারেই জেসন হোল্ডারকে মারেন ছক্কা। ১০ বলে ইনিংস শেষ করেন ১৩ রান করে।
খুব বড় ইনিংস নয়, ম্যাচেও প্রভাব সামান্য। তবে ম্যাককয় কেন এমন করলেন? ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি ও স্যামুয়েল বাদ্রিও কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
স্যামি চিৎকার করে উঠেন, ‘এটা কি হচ্ছে?’ বাদ্রি মন্তব্য করেন, ‘ব্যখ্যাতীত।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ও ছবি নিয়ে চলছে হাস্যরস। একজন মন্তব্য করেছেন , ‘অশ্বিনের কাছ থেকে ম্যাককয় ক্রিস্টমাস কার্ড পাবেন।’
তবে ঘটনার কারণ খুঁজতেও দেখা গেছে কাউকে কাউকে। ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের কাউকে কাউকে মুহূর্তের জন্য ‘ব্রেন ফেড’ হতে দেখা যায়। অর্থাৎ মস্তিষ্ক মিলি সেকেন্ডের জন্য হয়ে যায় অচল। ম্যাককয়ের হয়ত সেরকমই কিছু হয়েছিল। এর আগেও অদ্ভুত ঘটনা দেখ যায়নি এমন না। ব্যাটসম্যানদের অনেকেই আচমকা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আউট হয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে।
এদিন ভারতের জয়ে বল হাতে পরে অবদান রেখেছেন অশ্বিন। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট করে পেয়েছেন আর্শ্বদ্বীপ সিং, রবি বিষ্ণুইও। এর আগে বড় রানের পথে ৪৪ বলে ৬৪ করে যেমন অবদান রোহিতের, বড় অবদান শেষ দিকে ঝড় তোলা কার্তিকের। মাত্র ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪১ করে দলকে দুশোর কিনারে নিয়েছেন তিনিই।