দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শনিবার (৩০ জুলাই) বিজ্ঞান (ক) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে ইতোমধ্যেই সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ওএমআর ও অন্যান্য সকল কাগজপত্র।
জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ইউনিটে পরীক্ষার জন্য মোট আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে। এই ইউনিটে এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদন করেছেন।
এদিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বেশকিছু নির্দেশনা। সেগুলো হলো-
অনলাইনে প্রদত্ত প্রবেশপত্র অফসেট কাগজে রঙিন প্রিন্ট করে এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। যেখানে পরীক্ষার্থীর রঙিন ছবি এবং তথ্যসমূহ স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। কেউ চাইলে তার আগেও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। নির্ধারিত রুম খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই তার নির্দিষ্ট আসনে বসে পরীক্ষা দিতে হবে। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবে না।
পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, এটেন্ডেন্স শিট এবং ওএমআর শিটে অভিন্ন স্বাক্ষর থাকতে হবে। উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। সেখানে পেন্সিল ও ক্যালকুলেটরসহ যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সবগুলো কেন্দ্রেই মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ইতোমধ্যেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিলেও এবার নতুন যুক্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।