ভোটের বাকি প্রায় দেড় বছর, এরইমধ্যে জমজমাট নির্বাচনী কথামালা। নানা বিতর্ক ছাপিয়ে উন্নয়ন অংশীদারদের তাগিদ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কমিশনের সাথে দেখা করে নিজেদের সেই মনোভাব স্পষ্ট-ও করেছেন তারা।
বিএনপি নেতাদের সাথে দেখা করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রধান, কথা বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতও। পশ্চিমাদের এত তৎপরতা থাকলেও প্রচলিত ধারণা, নির্বাচনের সমীকরণে বড় ফ্যাক্টর প্রতিবেশি ভারত। যদিও তা মানতে নারাজ অনেকেই।
এদিকে, দিল্লির আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের কোনো দলের পক্ষে ভারতের অবস্থান নেয়ার সুযোগ নেই। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাঁক বদলায় তা নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা তাদের। দুই দেশের সরকারের বোঝাপড়া ভালো থাকায় আগামী দিনের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব বলে আশাবাদী তারা।
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, একটা মূল্যায়ন তো হয়, এই সরকারের সাথে আমরা কী কী অর্জন করলাম, আর অন্য সরকারের সাথে কী কী অর্জন করলাম না। আপনি যদি মূল্যায়ন করেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাথে উন্নতি বেশি হয়েছে; এটা ঐতিহাসিকভাবে।
পাশাপাশি প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান। তিস্তাসহ অভিন্ন অর্ধশতাধিক নদীর পানিবণ্টন, সন্ত্রাসবাদ দমন ও সীমান্ত সুরক্ষার সাথে কোভিড পরবর্তী বাস্তবতায় যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। এক দশকে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া ভালো হওয়ায় এর সবই মোকাবলো সম্ভব বলে মনে করছেন ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস।
সরকারের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, এমনকি দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন জরুরি বলে মনে করেন কূটনীতিকরা।