দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ও দ্বন্দ্ব মেটালেন বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের দুই জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর ও নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ন্যান্সিকে নিয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান আসিফ।
আসিফ তার পোস্টে লিখেছেন, একটা ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম চারটা বছর। অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত ফোন। হ্যালো বলতেই শুনলাম অনেক পছন্দের আদুরে কণ্ঠটি। ‘ভাইয়া আমি ন্যান্সি বলছি…’ খুব ভালো লাগলো ওর ফোনটা পেয়ে। দুনিয়ার সমস্ত অভিযোগ অভিমান আমার বিরুদ্ধে, শুনে আরও ভালো লাগছিলো। ন্যান্সি তো আমার ছোট, আমিতো বড়, তাহলে আমার মিনিমাম ভুলের ম্যাক্সিমাম শাস্তি হওয়া উচিত।
দ্বন্দ্বের অবসান প্রসঙ্গে আসিফ আরও লিখেছেন, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির কণ্ঠ আমাদের সম্পদ। আমাকে বললো, ‘ভাইয়া আমি রাগ কমিয়ে ফেলেছি, আপনিও রাগ কমিয়ে ফেলেন।’ সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম। অনেকদিন পর স্নেহের ন্যান্সির সাথে গল্পগানের আড্ডায় নিজেকে হালকা করে ফেলেছি। ভালো থাকো ন্যান্সি, আনন্দে বাঁচো। গান গেয়ে যাও, তোমার কণ্ঠ এ দেশের মানুষের একটা আনন্দময় ভালো লাগা, আমিও সেই দলের বাইরে নই। ভালোবাসা অবিরাম।’
এর আগে, ২০২০ সালে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় আসিফের বিরুদ্ধে করা অভিযোগে ন্যান্সি উল্লেখ করেন, তার কণ্ঠ সফলতায় হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করে আসিফ আকবর বিভিন্ন সময়ে ইউটিউব, রেডিও ও টিভি চ্যানেলে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর দিয়েছেন। এতে তার মানহানি ও সঙ্গীতজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ন্যান্সির দাবি, আসিফ অনুমতি ছাড়াই ন্যান্সির গাওয়া ১২টি গানের স্বত্ব বিক্রি করে দেন। ১২টি গানের স্বত্ব দাবি করলে রোষানলে পড়তে হয়েছিল তাকে। যার প্রেক্ষিতে আসিফ বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইউটিউব ও টিভি চ্যানেলে বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
পরে ন্যান্সির অভিযোগ তদন্ত করে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রসিকিউশন জমা দেয় পুলিশ। তার প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আব্দুল হাই গায়ক আসিফকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও পরবর্তীতে এ মামলায় স্থায়ী জামিন পান আসিফ।