ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই এবার লাটভিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (৩০ জুলাই) রাশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম বাল্টিক এই দেশটিতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
গ্যাস আমদানির শর্ত ভঙ্গ করায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ এই গ্যাস কোম্পানি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস আমদানির শর্ত ভঙ্গ করায় সরবরাহ বন্ধের এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে লাটভিয়া ঠিক শর্ত ভঙ্গ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
লাটভিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্য প্রতিবেশী রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে থাকে। তবে বাল্টিক এই দেশটির সরকার বলছে, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে গ্যাজপ্রমের নেওয়া এই পদক্ষেপ (দেশে) বড় প্রভাব ফেলবে বলে তারা মনে করে না।
এর আগে চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়ার ওপর একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করবে লাটভিয়া।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পথ খুঁজছে।
বিদ্যমান বাস্তবতায় রাশিয়া অবশ্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে গ্যাসের দাম রুশ মুদ্রা রুবলে পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। মার্কিন সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পদ আটকের পর জবাবে মস্কো ইউরোপের দেশগুলোকে রুবলে বিল পরিশোধ করতে বলে আসছে।
উল্লেখ্য, তেল-গ্যাস-কয়লাসহ সবপ্রকার জ্বালানির জন্য ইউরোপ ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল রাশিয়ার ওপর। ইউরোপের মোট চাহিদার ৩০ শতাংশেরও বেশি গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে।
গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়ার তেল ও কয়লার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হলেও ইইউ নেতারা বলেছিলেন, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চান তারা।