হারারে স্পোর্টস ক্লাবে নতুন এক গল্পের শুরু করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির সাথে মানিয়ে নিতে নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার প্রত্যয় লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে জিম্বাবুয়ের দেয়া ২০৬ রানের লক্ষে অন্যরা যখন মন্থর তখন ব্যতিক্রম ৮ম বাংলাদেশি টি-টোয়েন্টি আধিনায়ক নুরুল হাসান আর ইনফর্ম লিটন দাস। লিটনের ৩২ আর সোহানের ঝড়ো ৪২ রান বাঁচাতে পারেনি ম্যাচ। ১৭ রানের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে রাসেল ডোমিঙ্গো শিষ্যরা। আর এই পরাজয়ের পেছনে কারণটাও পুরনো। ডেথ ওভার বোলিংয়ে ব্লক হোলে বল করতে না পারার মাশুল আরও একবার গুণতে হলো বাংলাদেশকে।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩২ রান। কিন্তু বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান, আর টাইগাররা হারায় মোসাদ্দেকের উইকেট। মূলত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী ওই ওভারটিতেই ব্লক হোলে বল করার সাথে স্লোয়ার, নাকল বলও করেছেন এনগারাভা। আর অন্যদিকে, বাংলাদেশকে যেন টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং শিখিয়েছেন সিকান্দার রাজা, শন উইলিয়ামরা। শন উইলিয়ামস ও মাধেভেরের ৩৭ বলে ৫৭ রানের জুটির পর মাধেভেরে-সিকান্দার রাজার ৪৩ বলে ৯১ রানের ঝড়ো পার্টনারশিপ ম্যাচ থেকে দূরে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। রাজা ২৩ বলে তুলে নেন ফিফটি।
এ দিন শুরু থেকেই অগোছালো পেসাররা বুঝিয়েছে, এই উইকেট আরও একজন স্পিনারের প্রয়োজনীয়তা। শেষ ৩৬ বলে জিম্বাবুয়ের ৯১ রান বলে দেয় ডেথ ওভারে তাসিকন-শরিফুল-মোস্তাফিজদের দৈন্যতা। যা বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। ৪ ওভার কোটা পূরণ করেছেন এই ৩ পেসার। কিন্তু তাতেই যেন জিম্বাবুয়ের রানের তোড়ে ভেসে গেছে বাংলাদেশ। তাসকিন ৪২, মোস্তাফিজ ৫০ ও শরিফুল দিয়েছেন ৪৫ রান। অর্থাৎ, ৩ লিডিং পেসারের ১২ ওভারেই গেছে ১৩৭ রান! নাসুম-মোসাদ্দেকরাও ছিলেন খরুচে। তবে পেসারদের তুলনায় যেন তারাই ক্ষতি প্রশমনের চেষ্টা করে গেছেন!