গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) কাবুল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পেশাদার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ শাপাগিজার বন্দ-ই-আমির ড্রাগনস ও পামির জালমি ম্যাচ চলাকালে বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। ম্যাচটি দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিরাও।
ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে স্টেডিয়াম। বোমা আতঙ্কে দ্রুতই খেলোয়াড়দের সরিয়ে নেওয়া হয় নিরাপদ স্থানে। প্রথমে চারজন দর্শক আহত হয়েছে বলে জানালেও এখন জানানো হয়েছে ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
নিন্দা জানিয়ে জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমি কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সেখানে কমপক্ষে ১৯ জন বেসামরিক নাগরিকের প্রানহানি ঘটেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বেসামরিক জনতার বিরুদ্ধে আক্রমণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।’
আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও জাতিসংঘের মহাসচিবের ডেপুটি বিশেষ প্রতিনিধি এবং আফগানিস্তানের জন্য মানবাধিকার সমন্বয়কারী রমিজ আলাকবারভ এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
বোমা হামলায় নিহতদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘এই বিস্ফোরণটি আফগানিস্তানের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা দিয়েছে। এটা সত্যিই হতাশাজনক। খেলা দেখতে মানুষ অনেক আশা নিয়ে আসে। যেখানে শিশু এবং সকলককে একইভাবে অনুপ্রাণিত করে৷’