চলতি বছর অনুষ্ঠিত আইপিএলের ১৫তম আসরে সুযোগ মেলেনি সাকিব আল হাসানের। নিলামে কোনো দলই কেনেনি বাংলাদেশের এই সুপারস্টারকে। এ জন্য আইপিএলকে বয়কটের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা।
তবে আইপিএলের মতো বড় আসর বয়কটের কোনো মানেই দেখেন না সাকিব। বরং আইপিএলের মতো আসরে খেলার সুযোগ মিললে দেশের যেকোনো ক্রিকেটারের সেটি গ্রহণ করা উচিত বলেই মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়। কেবল আইপিএল নয়, সুযোগ মিললে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা উচিত বলে জানিয়েছেন সাকিব।
২৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ‘ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ম্যারিনায়’ ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট উইথ দ্য ওয়ার্ল্ড সুপারস্টার সাকিব আল হাসান অ্যান্ড ঢালিউড কিং শাকিব খান’ নামক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আইপিএল ও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সম্পর্কে এভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন সাকিব।
টাইগার ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়ের ভাষ্যে, ‘দেখেন, আসলে আবেগের জায়গাটা কম, আবেগ দিয়ে সবসময় সবকিছু বিবেচনা করা যায় না। আইপিএল এমন একটা মঞ্চ এখন, আপনি স্বীকার করেন বা না করেন পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই চায় এমন একটা জায়গায় খেলতে। এখানে খেলাটা সব খেলোয়াড়ের জন্যই ভালো একটা সুযোগ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতাটা আপনি পান সেটি অনেক বড় কিছু।
আপনি যদি দেখেন ২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও আমি ম্যাচ খেলিনি। পুরো দেড় মাস আমি ওখানে বসেছিলাম। ওখানে থাকার কারণে জনি বেয়ারিস্টো, রশিদ খান, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসন ওদের সাথে থেকে দেখেছি যে বিশ্বসেরা কীভাবে হওয়া যায়। বিশ্ব ক্রিকেটকে যে ওরা লিড করে সেটা কী কারণে করে, সেটা আমি ওখান থেকেই জেনেছি।
ওখানে যদি না যেতাম কখনোই জানতে পারতাম না। চেষ্টা করেছি কীভাবে ওদের কাছাকাছি যাওয়া যায়। আমার মনে হয় যেটা আমাকে অনেকটা কাজে দিয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ফল আমি পেয়েছি। আইপিএল বলেন সিপিএল বলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় তা দেশের ক্রিকেটেরই লাভ হবে। শুধু আইপিএল না অন্য যে কোনো টুর্নামেন্ট বয়কট করার কোনো মানেই হয় না।
শেখার তো শেষ নেই আপনি যত নতুন জায়গায় যাবেন ততই নতুন কিছু শিখতে পারবেন। আমি নিশ্চিত আপনি যখন নিউইয়র্কের বাইরে ডালাসে ক্যালিফোর্নিয়া বা অন্য কোথাও যাবেন কিছু না কিছু শেখার আসবেই। এই সুযোগগুলো হাতছাড়া করা ঠিক না। পৃথিবীর সব জায়গাতেই কিছু শেখার আছে। তো আপনি কেন সুযোগ হাতছাড়া করবেন।’