রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টিটুসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন— আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান সোহেল ও খায়রুল।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টিপু হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র মিলেছে।
ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুসাকে দেশে ফেরানোর পর কয়েক দফায় হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন মুসা। কিলিং মিশনে কার কি ভূমিকা ছিল সেটি তার বক্তব্যে উঠে এসেছিল। মুসার তথ্য যাচাই করতে বিভিন্ন সময় আরও কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে ডিবি। টিপু হত্যা পরিকল্পনায় টিটু, রবিন ও সোহেল সম্পৃক্ত। এর মধ্যে টিটু সবচেয়ে দুর্ধর্ষ। তার সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্র দীর্ঘদিনের। যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কির সঙ্গে এক সময় তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কিকে হত্যা করা হয়।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত হয়েছেন, টিপু হত্যার ঘটনায় শুটার ছিলেন মাসুম মোহাম্মদ আকাশ। পুরানা পল্টনের ‘আর্মস মিউজিয়াম’ নামের একটি অস্ত্রের দোকানের গুলি টিপু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়। ওই দোকানের মালিক ইমরান হোসেন জিতুর কাছ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি নিয়ে মতিঝিলের ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুর রহমান রাকিব পৌঁছে দেন সুমন সিকদার মুসার হাতে। এছাড়া দুবাইয়ে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ মন্টির নির্দেশে ইশতিয়াক আহমেদ জিতু অস্ত্র দেন মোল্লা শামীমের কাছে।
কিলিং মিশনের সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন শামীম। বর্তমানে তিনি ভারতে পালিয়ে আছেন। মুসার মতো ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরাতে নানামুখী কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।