ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। আক্রমণকারীরা হলো উপজেলায় নোয়াগাঁও গ্রামের সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত কাইউম (৫৫) তার ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকুরীজীবী বায়েজিদ (২৬) ও স্ত্রী শিরিনা বেগম (৫০)।
গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টায় কসবা পৌরসভার ৮ ওয়ার্ডের নারজিনা আলমের বাসাতে ঘটনাটি ঘটে। এসময় বাসায় উপস্থিত সুমি আক্তার (৩০), আফসানা আক্তার (২০), মিশু আক্তার (১৯)-কে মারাত্মকভাবে আহত করে। সুমি আক্তার ও মিশু আক্তার উভয়েই গর্ভবতী। তারা বারবার গর্ভবতী বলার পরও তারা তাদের কথার কোন তোয়াক্কা না করেই মারধর চালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের বাসার লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, বাসার মালিক নারজিনা আলম বলেন, আমি তাদের চিৎকার শুনে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। তখন আমি চিৎকার করে লোকজন জড়ো করলে তারা আমাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের উপর ঝাপিয়ে পরে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পর, লাথি মেরে তাদেরকে আহত করে, তারা গর্ভবতী বলেও রেহাই পায় নি। এ ব্যাপারে কসবা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।