দীর্ঘ আট বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন অনন্ত জলিল। ঈদ উপলক্ষে গত ১০ জুলাই মুক্তি পেয়েছে তার ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমাটি। বরাবরের মতো এবারও তার সঙ্গী হয়েছেন বর্ষা। মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দর্শকের সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখেছেন এই তারকা দম্পতি।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টারে ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘দিন-দ্য ডে’র বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির হয়েছিলেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা।
এদিন সেখানে সপরিবারে হাজির হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা আবদুল কাদেরের নাতনি শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবাও। এরপর তার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনন্ত ও বর্ষাকে নিয়ে লুবাবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
লুবাবা লিখেছে, ‘নায়ক অনন্ত জলিল একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। অনেক বছর আগে গ্রামীণফোন একটি বিজ্ঞাপন করেছিল যেখানে নায়কের মুখ থেকে এমন একটি ডায়লগ বের হয়েছিল, যা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে এবং যা পরবর্তীতে নায়কের সবচেয়ে সেরা উক্তি হিসেবে বিবেচিত। উক্তিটি হলো ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তর কাজ’। বাস্তবেও অনন্ত জলিল অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে থাকেন। পৃথিবীতে সব মানুষই সমালোচিত হয় অনন্ত জলিলও তার ব্যতিক্রম নন। সমালোচনার পাশাপাশি তিনি অনেক প্রশংসিতও হন তার অসাধারণ সব কাজ দিয়ে। তিনি যে বাস্তবেও অসম্ভবকে সম্ভব করতে চেষ্টা করেন তার প্রমাণ প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাচ্ছি। আজ তেমনই একটি মুহূর্তের সাক্ষী হলাম। তিনি কথা দিয়েছিলেন ১০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমাটি দেখবেন। তিনি কথা রেখেছেন। বাংলাদেশে এর আগে কোনো নায়ক এমনটি করেননি।
অনন্ত জলিলই একমাত্র নায়ক, যিনি নিজের সিনেমার প্রচারের পাশাপাশি অন্যান্য নায়কদের সিনেমার প্রচার করেছেন। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত হাওয়া, পরাণ সিনেমা নিয়েও তিনি পোস্ট করেছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনন্ত জলিল বাংলা চলচ্চিত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছেন,বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছেন। যারা ‘দিন দ্য ডে’ দেখেছেন তারা জানেন মুভিটি কেমন হয়েছে। তারা অবশ্যই ভিন্ন কিছু দেখেছে। এমনকি সিনেমা নিয়ে যারা রিভিউ করে বিখ্যাত তাদের অনেকেই তো স্বীকার করেছেন। এটি একটি যাত্রা মাত্র। এর শেষ আপনি জানেন না। তিনি এই যাত্রাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যেতে চান যা এখনও আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
লুবাবা আরও লিখেছে, অনেকেই বলে থাকেন তিনি কেন অন্য নায়ক-নায়িকাকে দিয়ে সিনেমা তৈরি করেন না? তাদের জন্য বলতে চাই, অপেক্ষা করুন। কত শত চমক তিনি দেখাবেন, তা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি যে অসম্ভবকে সম্ভব করেন, তা চোখ কান খোলা রাখলে একটু একটু করে দেখতে পাবেন। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এই গুণী অভিনেতা, প্রযোজক, শিল্পপতির সঙ্গে পাশাপাশি বসে বিগ বাজেটের এই সিনেমাটি উপভোগ করা। তার ভালোবাসা ও স্নেহের পরশ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হয়। এ উপলব্ধি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন-দ্য ডে’। সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক। বাজেটের কারণে বেশ আগে থেকেই আলোচনায় রয়েছে ‘দিন-দ্য ডে’। মুক্তির পরেও কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি।