লেবাননের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নেওয়ার জন্য ইসরায়েল যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।
রবিবার হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ এ কথা বলেছেন।
জুলাই মাসের প্রথম দিক থেকে ইসরায়েল ভূমধ্যসাগরে লেবাননের পানি সীমায় অবস্থিত কারিশ গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় জাহাজ পাঠানোর পর চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
লেবাননের পানিসীমায় ইসরায়েলের জাহাজের প্রবেশ প্রসঙ্গ তুলে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, “হিজবুল্লাহ নেতারা এ বিষয়ে দেশের সামনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করছেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ৫০ ভাগ।”
বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের ব্যাপারে হিজবুল্লার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা বৈরুত এবং তেলাবিবের মধ্যে চলমান পরোক্ষ আলোচনার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার মার্কিন জ্বালানি উপদেষ্টা আমোস হকিস্টেইন ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যকার চলমান আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য বৈরুত পৌঁছেছেন। মার্কিন এ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহ একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে- ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত এলাকায় ইসরায়েলের একটি জাহাজ তৎপর রয়েছে তবে সেখানকার জাহাজ এবং ইসরায়েলের অন্যান্য উপকরণ হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে বলে সংগঠনটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। সূত্র: ইকনা, প্রেসটিভি