জুলাই শেষে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশে। জুন মাসে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫৪.৬ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার পরিসংখ্যান বিভাগ এ তথ্য দিয়েছে।
সংকটে বিধ্বস্ত দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ আরও জানিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের পাশাপাশি দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির অভাবও রয়েছে।
জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ; জুনে যা ছিল ৮০ দশমিক ১ শতাংশ।
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে মূল্যস্ফীতি ৭৫ শতাংশেও পৌঁছাতে পারে।
১৯৪৮ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে বর্তমানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব রয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের তীব্র সংকট ছিল। পরিস্থিতি এখন কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে জ্বালানে পেতে মানুষকে এখনও লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ এখনও এক হতে পারেনি।
প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইএমএফের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক আলোচনা চলছে।
অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘিরে শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে। ঋণ পরিশোধের অক্ষমতার কথা জানিয়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
তীব্র আন্দোলনের কারণে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। পরে তিনি পদত্যাগও করেন। অর্থনৈতিক এই সঙ্কটের জন্য রাজাপাকসে প্রশাসনকে দায়ী করা হচ্ছে।