ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় বিএনপি’র নেতাকর্র্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় ভোলা জেলা বিএনপি’র সভাপতি-সম্পাদকসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে পুলিশ দুটি মামলা করেছে।
সোমবার (১ আগস্ট) সকালে ভোলা সদর থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সক্রিয় কর্মী।
সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৭৫ জনকে চিহ্নিত আসামী করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর নিহত সেচ্ছাসেবক দল কর্মী আব্দুর রহিমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীনসহ জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে সামনে নিহত আব্দুর রহিমের পরিবারের সদস্যদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যেতে দেখা গেছে নিহতের মা ফখরুন নেছাকে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিবে পুলিশ পাহারায় নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে মামলা হওয়ার খবরে অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপি অফিসসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে ভোলায় গতকাল রোববার বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র দুইদিনে কর্মসূচীর প্রথম দিনে আজ ১ আগষ্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সহ সারাদেশে মহানগর এবং জেলা সদরে কালো ব্যাচ ধারন ও গায়েবী জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।