চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামে দুই মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।তাদের সাপে দংশন করেছিল বলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৩) ও একই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে জুনায়েদ (১৩)। তারা চন্দ্রবাস দারুল উলুম কওমি মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল। মাদরাসার আবাসিকে থেকে তারা লেখাপড়া করতো।
মাদরাসার শিক্ষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ ও জুনায়েদ বমি করছিল”। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে,“কিছুতে কামড় দিয়েছে”। তখন দেখি আব্দুল্লাহর ডান পায়ে ও জুনায়েদের বাম হাতে কামড়ের চিহ্ন। পরে মাদরাসার অন্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদেরকে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিই। ওই গ্রাম্য চিকিৎসক তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’
মাদরাসার পরিচালক হাজী আক্তার ফারুক বলেন, ‘মাদরাসার বোডিংয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের দু’জনকে সাপে দংশন করেছে। চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নিই। সকাল ৮টার দিকে তারা মারা যায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, সকাল ৭টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই মাদরাসা ছাত্রকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তাদেরকে সাপে দংশন করেছে বলে মাদরাসার লোকজন জানান। আমরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে ওই দুই ছাত্র মারা যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহেদ দুই ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।