মার্কিন হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করো যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা তুঙ্গে। তার এই সফর নিয়ে বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তারা জানায়, ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন যেন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের অধিকার আছে।
হোয়াইট হাউস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পেলোসি তাইওয়ান যাচ্ছেন বলে চীন উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে, এটা হতে পারে না। তারা চীনকে সুর নরম করতে বলেছে।
চীন জানিয়েছিল, পেলোসির তাইওয়ান সফর খুবই উস্কানিমূলক এবং চীনের সেনাও খুব একটা দূরে নেই। কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাইওয়ান যাবেন কি না, সেটা শেষপর্যন্ত পেলোসিই ঠিক করবেন।
হোয়াইট হাউস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চায়নি, পেলোসি তাইওয়ান যান। এমনিতেই রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে পুরো বিশ্ব উত্তাল, তার উপর তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা বাড়ুক সেটা তারা চায়নি। কিন্তু পেলোসি তাইওয়ান যাওয়ার ব্যাপারে অনড় মনোভাব দেখিয়েছেন।
হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, সহজ কথায়, পেলোসির সফর দীর্ঘকালীন মার্কিন নীতির প্রতিফলন। এ নিয়ে বেজিংয়ের সুর চড়ানো অর্থহীন। তাইওয়ান সফরের অধিকার পেলোসির আছে। তাইওয়ান খাড়িতে চীনের সামরিক মহড়া, সেনার সংখ্যাবৃদ্ধি এসবই অনৈতিক। যুক্তরাষ্ট্র কোনো হুমকির কাছে মাথা নত করবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি সেইসঙ্গে বলেছেন, তাইওয়ান প্রসঙ্গে মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ানের উপর চীনের সার্বভৌমত্ব তারা মানে। কিরবি বলেছেন, কিছুই বদলায়নি। তাহলে এত হইচই কেন?
মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, মঙ্গল বা বুধবার পেলোসি তাইওয়ান যেতে পারেন। গত ২৫ বছরে তার মতো উচ্চ পদে আসীন কোনো মার্কিন নেতা তাইওয়ান সফর করেননি।
তবে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার সফরের বিষয়ে কিছুই জানায়নি। পেলোসির কর্মসূচিতেও তাইওয়ান সফরের কথা বলা হয়নি।
পেলোসি সিঙ্গাপুরে এসেছেন। তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
চীন দাবি করে, তাইওয়ান তাদেরই একটি অঞ্চল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হলো তার অন্যতম লক্ষ্য। দরকার হলে জোর করে তা করতেও তিনি রাজি।
কিন্তু তাইওয়ান চীনের দাবি মানতে নারাজ। তারা চায়, তাইওয়ানের মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, চীন নয়।
গত বুধবার চীন জানিয়ে দেয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে পেলোসির তাইওয়ান সফর মোটেই ভালো সিদ্ধান্ত নয়। শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এক চীন নীতি মেনে চলা। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে পুড়তে হবে বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।