বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় চরম লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন জীবন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষ বলছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কোথাও কোথাও ১০ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের প্রতি ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
ভগ্নপ্রায় অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে গাজার অধিবাসীরা। এরই মধ্যে তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম। মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আরও বিপদ ডেকে আনছে দিনে ১০ ঘণ্টাও বেশি সময় স্থায়ী লোডশেডিং। অর্থ সঙ্কটে জেনারেটর কিংবা আইপিএস কেনার সামর্থ্যও নেই গাজাবাসীর।
কর্তৃপক্ষ বলছে, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়াই এই সঙ্কটের মূল কারণ। জ্বালানি সাশ্রয় করতে গিয়ে বাধ্য হয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে হচ্ছে। তীব্র গরমে বাড়তি চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
এনিয়ে গাজার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানির কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাবিত বলেন, এপ্রিল পর্যন্ত সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। প্রতিদিন ২০ ঘণ্টা সরবরাহ করতে পারতাম। কিন্তু জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। গ্রাহকদের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি না।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকায় গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তবে স্থানীয় উৎপাদন এবং ইসরায়েলের কাছ থেকে কেনা বিদ্যুৎসহ বর্তমান সরবরাহের পরিমাণ মাত্র ১৮০ মেগাওয়াট।