নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ইভিএম কোনো কাজের জিনিস না। বিগত দুই নির্বাচন তারা ডাকাতি করেছে। সরকার এবার দিনের ভোট আগের রাতে ডাকাতি করতে পারবে না। আর তারা তো ক্ষমতা ছাড়তে পারছে না। কারণ তারা বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছে। তারা প্রশাসনকে গিলে ফেলেছে। এখন তারা পীড়া দিচ্ছে। লড়াই ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় এসব কথা বলেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে চায় কেনো?’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
এ সময় মান্না আরও বলেন, বিশ্বের বহু দেশ ইভিএম বাদ দিয়েছে। ইভিএমের জারিজুরি চলবে না। কিন্তু সরকার তো সে পথেই যাচ্ছে। সেজন্য লড়াইয়ে যেতে হবে। এই আন্দোলন বিএনপি ছাড়া সম্ভব না। এই জালিম সরকারের চোখে কোনো চামড়া নেই। তারা লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিপীড়ন করেছে। বহুদিন ধরে তারা আন্দোলন করছে। এখন জীবনও দিচ্ছে। তবে আমাদের নিজেদের ভুলেও কিন্তু ফ্যাসিবাদ শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগকে মানুষ থুথু দিচ্ছে। কোনো মানুষ তাদেরকে দেখতে পারে না। ফেয়ার নির্বাচন হলে তারা টিকতে পারবে না। পুলিশ ছাড়া টিকতে পারবে না। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রাজপথ দখল হয়ে যাবে।
মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ বাহ্যিকভাবে আমেরিকা, বিশ্বব্যাংক সহ বিদেশিদের পাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু তলে তলে তাদের পা ধরছে। আমাদের টার্গেট অটুট রাখতে হবে যে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। তাহলে তারা ইভিএমের স্বপ্নও দেখতে পারবে না।
সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বুলু, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা মো. শুকুর মাহমুদ ববি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, সহ-সভাপতি আজিজুল হাই সোহাগ প্রমুখ।