বিশ্ব রাজনীতির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলা ও বাঙালি জাতির মুক্তির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব সম্মোহনীদের তালিকায় সর্বাগ্রে ও স্বগৌরবে অবস্থান করছেন।
শেখ মুজিব শিশুকাল থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সত্য ও উচিত কথা বলা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী ছিলেন। সাধারণ মানুষের প্রতি মুজিবের দরদ, মহানুভবতা, ঔদার্য্য, মানুষের বিপদে আপদে অকুণ্ঠচিত্তে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, সমাজের যে কোন স্তর ও পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মেলামেশার গুনাবলি শৈশবেই প্রকাশ পেয়েছিল। অর্থাৎ তিনি যে বড় হয়ে একজন মহান নেতা ও মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবেন সেটা বোঝা গিয়েছিল। ইংরেজি প্রবচন অনুযায়ী যেটাকে “The morning shows the day” বলা যায়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসতেন, নিজে স্বপ্ন দেখতেন এবং দেশের সাধারণ মানুষকে স্বপ্ন দেখাতেন। স্বৈরাচার শোষক গোষ্ঠীর শৃঙ্খল থেকে মাতৃভূমির মুক্তি, স্বাধীন ও সোনার বাংলা গড়া তাঁর জীবনের বড় স্বপ্ন ছিল। বঙ্গবন্ধু আত্মনির্ভরশীল একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এই যে, দেশে মানুষ দু’বেলা আহার পাবে, মাথার ওপর চাল থাকবে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, সকল মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং সমাজে সংহতি থাকবে । ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানি কারাগার থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে এক ভাষণে বলেছিলেন- “এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মা বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এ দেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। তাই তিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর প্রথমেই ১,৬৫,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণসহ চাল, ডাল ও রেশনের ব্যবস্থা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসনের জন্য।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেন । কৃষকদের ২৫ বিঘা জমি পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করেন এবং সমস্ত বিধ্বস্ত কলকারখানা, রাস্তা, ব্রিজ ইত্যাদি পুনঃনির্মাণ ও মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন ।
বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী হবে, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত জীবন পাকে । তাই তিনি বলেছিলেন “রাজনীতিতে যারা সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে, তারা হীন, নীচ, তাদের অস্ত্রর ছোট। যে মানুষকে ভালবাসে সে কোনদিন সাম্প্রদায়িক হতে পারে না”। একটি দেশের উন্নয়নে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অবদান থাকে । সকল নাগরিকের সমান উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হয়। বঙ্গবন্ধু এ বিষয়টি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন বিধায় বাংলাদেশকে একটি শোষণ বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। পাহাড় সমান ব্যক্তিত্ব ও সাহসিক এব সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতিকে অনেক বেশি ভালবেসেছিলেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, “আপনার শক্তি কোথায়? বঙ্গবন্ধু উত্তরে ছিলেন। “আমি আমার জনগণকে ভালবাসি’। এরপর তাঁর দুর্বল দিকের কথা জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেছিলেন “আমি আমার জনগণকে খুব বেশি ভালবাসি’। তাঁর কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে তিনি জনগণকে খুব ভালবাসতেন এবং জনগণই তার শক্তির ও প্রেরণার উৎস ছিল।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন সন্ধ্যায় বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ সংস্থার সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এস.ডি. গোখলে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন যে, “বাংলাদেশে এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে প্রতিটি নাগরিক হবেন নিঃস্বার্থ ও নিষ্ঠাবান। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সম্মেলনে এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- বাংলাদেশ আমার স্বপ্ন, ধ্যান, ধারণা ও আরাধনার ধন” ।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে বাধ্যতামূলক সমবায় প্রতিষ্ঠিত হবে । তাই তিনি ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ভাষণে গ্রামের প্রত্যেকটি কর্মঠ মানুষের বহুমূখী সমবায়ের সদস্য হবার বিষয়টি প্রস্তাব রেখেছিলেন । তিনি বলেছিলেন যার যার জমি সে-ই চাষ করবে কিন্তু ফসল কৃষক, সমবায় ও সরকারের মধ্যে তিন ভাগ হবে। এই গ্রামীণ সমবায়কে তিনি নতুন গ্রাম সরকার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন তাঁদের হাতেই উন্নয়ন বাজেটের অংশবিশেষ তুলে দেওয়া হবে, কর্ম পরিকল্পনাও থাকবে তাদের হাতে। বঙ্গবন্ধুর একটাই উদ্দেশ্য ছিল যে গ্রামীণ সমবায়কে শক্তিশালী করে ইউনিয়ন কাউন্সিলের টাউটদের বিদায় দেওয়া ও দুর্নীতিমুক্ত করা । সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কেন্দ্রে তিনি গ্রামকে দেখেছিলেন ।
বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে । তিনি ছিলেন অত্যন্ত কৃষি ও কৃষক বান্ধব মানুষ। তিনি ভেবেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা ও মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তার জন্য কৃষি উন্নতির কোন বিকল্প নাই । তাই তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন । ফলশ্রুতিতে, বঙ্গবন্ধু তাঁর সরকারের প্রথম বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন । উচ্চতর শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, কৃষকের স্বার্থ রক্ষা, কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমবদা প্রদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, আমাদের নিজেদের জ্ঞান, মেধা, দক্ষতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাদ্যঘাটতি দূরীকরণে সৃজনশীল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিলেন । এভাবে প্রত্যেক সেক্টরে উন্নয়নের মাধ্যমে এক একটি ধ্বংসস্তুপকে একটি ফুলবাগানে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন ।জীবনের পুরোটা সময় এদেশের মাটি ও মানুষকে নিয়ে ছিল তাঁর দুঃসাহসিক স্বপ্ন ।
সর্বনা তিনি নির্যাতিত, দরিদ্র ও পরিশ্রমী মানুষদের মৌলিক অধিকার যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে উন্নত জীবনের লক্ষ্যে ছিলেন বদ্ধ পরিকর ও অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালির মুক্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, এদেশের মানুষকে ভালবেসেছেন, সমস্ত বাঙালির স্বপ্নের বোঝা কাঁধে নিয়েছিলেন, বাংলার মানুষকে বিশ্বাস করেছিলেন। তাঁর বিশ্বাসের উপহার হিসাবে বাঙালি দিয়েছে এক সমুদ্র রক্ত এবং কেঁড়ে নিয়েছে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রাণসহ পরিবারের প্রায় সকলকে। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ শুক্রবার রাতের নিস্তব্ধ নিরবতা ভেঙ্গে মসজিদে মসজিদে যখন ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছে ঠিক তখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী উচ্চাভিলাষী পাকিস্তানি দোসর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকাস্থ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে আক্রমন চালিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডটি ঘটায় । সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ শোকে হত বিহবল হয়ে পড়েছিল। বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃন্য ও নৃশংসতম এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সেদিন পাকিস্তানি দোসররা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাঁরা বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শ এবং বঙ্গবন্ধুর হাজারো স্বপ্নকে হত্যা করেছে। ১৫ আগস্টের কালোরাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্নেল জামিল, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, সেরনিয়াবাত কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রিন্টু খানকে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নৃশংসতম হত্যাকান্ড বাঙালি জাতির জন্য এক কালো অধ্যায় এবং করুন বিয়োগগাধা ইতিহাসের ঘৃন্য জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করে রেখেছে এবং নানাভাবে খুনিদেরকে পুরষ্কৃত করেছে খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার ।
বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করলেও তিনি অমর ও চিরঞ্জীব। কেননা তিনি সমগ্র জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শাসক ও শোষক পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম, প্রেরণার উৎস। সে আদর্শ ও প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা বাঙালি জাতি।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাঁর স্বপ্নগুলো ফুটে উঠত বাঙালির জীবনে যেখানে মানুষের অধিকার চিন্তা চেতনাগুলো মুক্তি পেত। ঘুষ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, সমস্ত কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িক মতভেদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বন্ধ পরিকর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারাই আগস্টের নির্মম ইতিহাসের জন্ম দিয়েছিল যারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন মেনে নিতে পারেনি। তাই আগস্ট হচ্ছে বাঙালি জাতির স্বপ্ন ভূ নুষ্ঠিত হবার মান। আগস্ট আসলেই স্বপ্ন ধ্বংস হওয়া বাংলা মা আমার কাঁদে, কারণ তার বুকেই যে বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টার রক্তগঙ্গা বয়ে গেছে। এই বাংলার মাটিতে যুগে যুগে হাজার হাজার রাজনীতিকের জন্ম হবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সমতুল্য হয়তো আর কেহ আসবে না।
তাই আমার কাছে বঙ্গবন্ধু একজন রাজনীতিক ব্যক্তিত্বই নয়, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর জেগে থাকা এক নিষ্পাপ মুখচ্ছবি। ১৫ আগস্ট যুগে যুগে হাহাকার করে ফিরবে আকাশে-বাতাসে, মানুষ থেকে মানুষে, পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীতে। আমি চোখ বন্ধ করে বলব আরেকজন বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব ঘটবে না কোন দিন কিন্তু কোন দিন হারিয়েও যাবেনা পৃথিবীর ছায়া থেকে সেই নিষ্পাপ মুখ তবে আমাদের কখোনই ভুলে গেলে চলবে না এখনো এদেশে টিকে আছে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি দোসর, রাজাকার, আলবদর, আল সামস্ তাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত
করতে চায় এবং স্বাধীনতার গৌরবোজ্জল অর্জনকে কলুষিত করতে চায় । তাই সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে শান্তি দিতে পারব। আমি বিশ্বাস করি সোনার বাংলা গড়ার কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে। #
লেখক: আতিক আজিজ (কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, মানবাধিকারকর্মী ও বঙ্গবন্ধু গবেষক )