চীনের কাছ থেকে নতুন করে কোনো ঋণ নিচ্ছে না বাংলাদেশ। সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে আগের অর্থ ছাড়ের তাগিদ দেবে ঢাকা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে আবারও র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
তাইওয়ান নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যেই ঢাকা আসছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ৭ আগস্ট ডক্টর আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের উদ্দেশ্য কী?
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, উনি আসলে পরে বুঝা যাবে কী বার্তা দিচ্ছেন তিনি। আঞ্চলিক রুটিনমাফিক সফরের অংশ হিসেবেই উনি আসছেন।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ’র কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। নানা শর্তের বেড়াজালে চলছে সেই আলোচনা। এমন অবস্থায় গুঞ্জন, চীনের কাছ থেকে নতুন ঋণ নিতে পারে বাংলাদেশ। ঋণের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, নতুন করে ঋণ নেয়ার বিষয়টি এবার অন্তত নেই।
একই দিনে ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তার বৈঠকে তোলা হবে মানবাধিকারসহ র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি।
এদিকে, জাকার্তা থেকে ফিরিয়ে আনা কূটনীতিক আনারকলিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনার পরও কেন ইন্দোনেশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হলো, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।