তার নাম সারাভানান আরুল। ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, তার সম্পদের পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! এই অঢেল সম্পদ গড়ার পর তার মনে হয়েছে, সিনেমার নায়ক হবেন।
যেই ভাবনা, সেই কাজ। নিজের টাকায় সিনেমার নায়ক হয়ে গেলেন সারাভানান। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার প্রথম সিনেমা ‘দ্য লিজেন্ড’। বিশ্বব্যাপী প্রায় আড়াই হাজার প্রেক্ষাগৃহে তামিল ভাষায় নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এই সিনেমায় সারাভানানের নায়িকা দু’জন। একজন গীতিকা তিওয়ারি, আরেকজন বলিউডের আলোচিত সুন্দরী উর্বশী রাউতেলা। সিনেমাটির বাজেট ৪৫ কোটি রুপি। গত ২৮ জুলাই মুক্তির পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ কোটি রুপি আয় করেছে।
যদিও নায়ক-ব্যবসায়ী সারাভানানের দাবি, সিনেমাটি দর্শকের প্রচুর সাড়া পাচ্ছে। এমনকি সিনেমাটিকে তিনি ‘বিগ বাজেট ব্লকবাস্টার’ বলেও অভিহিত করেছেন।
প্রচুর অর্থের মালিক হলেও অভিনেতা বা নায়ক হিসেবে নিতান্তই হাস্যকর কাজ করেছেন সারাভানান আরুল। এ কারণে দর্শকের তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তাকে। ভারতীয় গণমাধ্যম এটিকে ‘সবচেয়ে বাজে সিনেমা’ হিসেবেও উল্লেখ করছে।
এদিকে সারাভানানকে বাংলাদেশি দর্শকরা অনন্ত জলিলের সঙ্গে তুলনা করছেন। ফেসবুকে দক্ষিণী সিনেমাভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে তাকে নিয়ে হাসাহাসি, ট্রল হচ্ছে। সেখানেই অনেকে তাকে ‘ভারতের অনন্ত জলিল’ আখ্যা দিয়েছেন। কেননা বাংলাদেশের অনন্ত জলিলও নিজের টাকা দিয়ে সিনেমা বানিয়ে নায়ক হয়েছেন। আবার কেউ কেউ এই নায়ককে হিরো আলমের সঙ্গেও তুলনা করেছেন।
ভারতের দর্শক আরও বেশি সমালোচনা করছে নায়ক সারাভানান ও তার সিনেমা ‘দ্য লিজেন্ড’-এর। ইউটিউবে সিনেমাটির ট্রেলারের নিচে নেতিবাচক মন্তব্যের ঢল নেমেছে। কেউ বলেছেন, ‘পুরো সিনেমায় একই এক্সপ্রেশন দেওয়ার জন্য এই নায়ক অস্কারের দাবিদার!’; কেউ বলেছেন, ‘রাস্তা থেকে তুলে এনে নায়ক বানানো হয়েছে’; আবার একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এই সিনেমা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে, আমিও নায়ক হতে পারব’।