স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে দুয়েকজনকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দুয়েকজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রাশেদুল হক প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধু রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা অসীম। তারা সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ১০ বছরে ৬০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা হারিয়ে যাবেন। আমরা সারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছি, সেটা প্রমাণ করতে একটি সমাবেশ করব। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছেন, যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত।