সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা অধরাই রয়ে গেলো বাংলাদেশের জন্য। ফাইনালে ভারতের কাছে অতিরিক্ত সময়ের ৯ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেলো পল স্মলির দল। নির্ধারিত সময় ২-২ গোলের সমতায় থাকলেও এরপর আর ম্যাচে পেরে ওঠেনি নোভা-মিরাজুলরা। ভারতের হয়ে গুরকিরাত সিং একাই করেছেন ৪ গোল।
বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি আসরের ফাইনালে খেলেছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। কিন্তু ৩ বারই ছুঁয়ে দেখা হয়নি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি।
এবারের ফাইনালে ফর্মের তুঙ্গে থাকা পল স্মলির শিষ্যদের নিয়ে ছিল বাড়তি স্বপ্ন। কিন্তু ম্যাচের প্রথম মিনিটেই যেভাবে রেফারি বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা দৃষ্টিকটুই ছিল। স্পট কিক থেকে ভারতকে লিড এনে দেন গুরকিরাত সিং।
গোল হজম করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশের যুবারা। তবে লিড বাড়ানোর একাধিক সুযোগ স্বাগতিকরা হাতছাড়া করায় হাফ ছেড়ে বাঁচে তানভীর-নোভারা। আক্রমণের ধরণ পাল্টে প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ৪৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে রঞ্জনের শট সবাইকে ফাঁকি দিয়ে জায়গা করে নেয় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধে একাদশে একাধিক পরিবর্তন আনেন পল। যেখানে আক্রমনের ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন শাহিন মিয়া।
অবশ্য সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। এবারও স্কোর শিটে নাম তোলেন গুরকিরাত সিং। যা আসরে তার ৬ষ্ঠ গোল।
নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। যেখানে আবারও শুরুতে এগিয়ে যায় ভারতের যুবারা। থ্রু বল থেকে গোলরক্ষক আসিফকে বোকা বানান হিমাংশু জাগরা।
এক মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল আদায় করে নেয় ভারত। হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি দলকে ৪-২ গোলের লিড এনে দেন গুরকিরাত সিং।
৯৬ মিনিটে ফাঁকায় দাড়িয়ে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন পিয়াস নোভা। ৯৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে গুরকিরাত সিংয়ের দূরপাল্লার শটে স্কোর লাইন হয় ৫-২।
এরপর অবশ্য ভারত আর বাংলাদেশকে কোনো সুযোগ না দেয়ায় ম্যাচে ফিরে আসা হয়নি নোভা-মিরাজুলদের। সাফের বয়সভিত্তিক দলের শিরোপা অধরাই রয়ে গেলো লাল-সবুজদের কাছে।