রাজধানীর সড়কে আজ গণপরিবহনের দেখা মিলছে না। ভাড়ায় চলা ‘উবার’, ‘পাঠাও’-এর মোটরসাইকেলও নামেনি। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে হাজার হাজার যাত্রী দাঁড়ানো, তারা বাসের অপেক্ষায়।
শনিবার (০৬ আগস্ট) সকালে বিভিন্ন সড়কে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শুক্রবার (০৫ আগস্ট) দিনগত রাতে আকস্মিক তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে বাস চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, আগে থেকে তেল কিনে রাখা দুয়েকটি বাস চলাচল করছে। রাস্তায় বাস দেখেলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। ধাক্কাধাক্কি করে বহু কষ্টে কিছু যাত্রী এসব বাসে উঠছেন, কেউ কেউ ভেতরে জায়গা না পেয়ে গেটে ঝুলছেন। নারী যাত্রীরা বাসে উঠতে না পেরে অসহায় অবস্থায় সড়কেই অবস্থান করছেন। গণপরিবহনের জন্য রামপুরা ব্রিজে অপেক্ষমান রোকসানা আক্তার নামের এক যাত্রী সকাল ৮টার দিকে বলেন, এক ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকেও তিনি কোনো বাসে উঠতে পারেন নি।
এ সময়ের মধ্যে মাত্র দুটি বাস চলতে দেখেছেন তিনি। সদরঘাট-বাইপাইল রুটের ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ পরিবহনের বাসচালক মোহাম্মদ সুমন বলেন, তেলের দাম বাড়ার খবর রাতে জানতে পারেননি। রাস্তায় নেমে যাত্রীদের কাছ থেকে এ খবর জেনে নিজের স্মার্টফোনের ডাটা অন করে নিশ্চিত হয়েছেন। বাসটিকে নিজেদের দাবি করে তিনি বলেন, আগের দিনের কেনা তেল দিয়ে বাস চালাচ্ছেন তিনি। যাত্রীদের রোষানলে পড়ার ভয়ে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন না। প্রসঙ্গত, সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন কর্তৃক পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায় নিম্নোক্তভাবে পুণর্নির্ধারণ করা হলো।