শাহারিয়ার মাসুদ: পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। পদ্মা সেতুর উভয় পাড়ের পর্যটন থেকে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এর সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রয়েল বেক্সগল টাইগার সমৃদ্ধ সুন্দরবন ও সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অভারনীয় সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে বিশাল পর্যটন শিল্প। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা পায়রা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে উন্নীত করা সম্ভব। বিদেশী পর্যটকদের আগ্রহী করতে পায়রায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,জাতির পিতার ভাস্কর্য,পর্যবেক্ষক টাওয়ার,ইকোর্পাক, মেরিন ড্রাইভ পার্ক, সি অ্যাকুরিয়াম, মসজিদ ও কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা যেতে পারে।
এছাড়া ষাট গম্ভুজ মসজিদ, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার, মাওয়া জাজিরা পাড়ের রিসোর্টসহ নতুন পুরানো পর্যটনকেন্দ্রে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের আগমন ঘটবে।তাছাড়া পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের প্রজাপতি জাদুঘর ও সিঙ্গাপুরের আদলে অলম্পিক ভিলেজ।
সরকার সেতুর পাশেই ক্রীড়া পল্লী ও অলম্পিক কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দর ঘেষে নির্মিত হবে ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গলফ ও টেনিস কোর্ট। এসব ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ হলে বদলে যাবে দেশের ক্রীড়া অঙ্গন সেই সাথে দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য খুলে যাবে নতুন সম্ভবনার দুয়ার।
স্বপ্নের এই সেতুকে কেন্দ্র করেই আর্বতিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প হতে পারে সেই বাংলাদেশ বির্নিমাণে অন্যতম হাতিয়ার।