বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা (সরকার) যে দুর্নীতি করছে তার প্রমাণ মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম আকাশচুম্বী বাড়িয়ে দেওয়া। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন, সহনীয়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে, অথচ কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে ৫০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। এই বৃদ্ধি জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। পরিবহন, নিত্যপণ্যসহ সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।’
ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নুরে আলম হত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘বারবার বাড়ানো হচ্ছে জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির মূল্য। এরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মানুষের প্রতি অত্যাচার শুরু করেছে। একের পর এক মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ আজ দিশেহারা।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আজ দানবে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানো আজ সবার জন্য দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আর সময় নেই। আসুন একসাথে রাজপথে নামি। জনগণ আজ জেগে ওঠেছে। ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন মাধ্যমেই এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের গণদাবি নিয়ে বিএনপি যখন গণ-আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তখন এই ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের পেটুয়া পুলিশবাহিনী গুলি করে হত্যা করলো আব্দুর রহিম ও নুরে আলমকে। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার টিকে আছে ভয়ভীতি, হত্যা ও দমন-পীড়ন করে। রহিম ও আলমের আত্মত্যাগ চলমান সংগ্রাম ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার গণআন্দোলন আরও বেগবান করবে। এই সরকার আমাদের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ রেখেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার সরানোর আন্দোলনের কথা বললেই তারা (সরকার) ষড়যন্ত্রের কথা বলেন। আমরা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না। যে অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল আমরা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।’
সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপির শীর্ষনেতারা বক্তব্য দেন।