কর্মব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেকেই একসঙ্গে অনেক বাজার এনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। তারপর প্রয়োজনমতো ফ্রিজ থেকে বের করে ব্যবহার করেন। কিন্তু সব খাবারই ফ্রিজে ভাল থাকে, এই ধারণাটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। প্রথম এক-দু’দিন ফ্রিজের খাবার স্বাভাবিক মনে হলেও,কয়েকদিন পর থেকে স্বাদ বদলে যায়। সেই সঙ্গে বদলে যায় গুণমানও।
এমন কিছু খাবার আছে যা ফ্রিজে রাখা মোটেও ঠিক নয়। এতে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। যেমন-
বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস : বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস ফ্রিজে রাখার কোনও দরকার নেই। এগুলি এয়ারটাইট বক্সে ভরে ঘরোয়া তাপমাত্রাতেই রাখা ভাল।
মধু এবং জ্যাম : মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যেতে পারে। তখন সেটা খাওয়া অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে। মধু ফ্রিজের বাইরে ঘরোয়া তাপমাত্রায় রাখাই ভাল। জ্যাম এবং জেলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। এটিও ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়।
আচার : আচারেও প্রিজারভেটিভ বেশি থাকায় ফ্রিজের বাইরেই একেবারে তাজা থাকে। এটি এমন জায়গায় রাখা উচিত যেখানে প্রচুর বাতাস চলাচল করে।
কফি: এয়ার টাইট পাত্রে কফি সবচেয়ে ভাল থাকে। ফ্রিজে কফি রাখলে জমে যায় এবং স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজের পরিবর্তে সবসময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত।
রসুন : রসুন ফ্রিজে রাখলে এর গন্ধ চলে যায় এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঘরোয়া তাপমাত্রায় একটি কাগজের ব্যাগে ভরে রাখা উচিত
সস : ভিনেগার এবং প্রিজারভেটিভ থাকার জন্য যে কোনও সস ফ্রিজ ছাড়াই ভাল থাকবে। সয়া সসও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে অনেকদিন ভাল থাকে।
টমেটো: টমেটো ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পানিতে ধুয়ে শোকানোর পর বাতাস চলাচল করে এমন জায়গাতেই টমেটো রাখা উচিত।
পেঁয়াজ : পেঁয়াজ সব সময় খোলা স্থানে রাখাই ভাল। ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাছাড়া ফ্রিজে খোলাভাবে পেঁয়াজ রাখলে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। তবে আলুর কাছাকাছি পেঁয়াজ ভুলেও রাখা ঠিক নয় তাহলে পচে যেতে পারে।
আলু : আলু সব সময় ঝুড়িতে করে খোলা জায়গায় রাখা ভাল। ফ্রিজের তাপমাত্রা আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেটকে নষ্ট করে দেয়। এতে আলুর স্বাদ বদলে যেতে পারে।
কলা : কলা সব সময় ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত। ঘরের তাপমাত্রায় কলা কাঁচা থাকলেও তা পেকে যাবে। ফ্রিজে কলা রাখলে কালো হয়ে যেতে পারে।