বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, করোনা মহামারিজনিত অর্থনৈতিক স্থবিরতার পর নতুন করে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার কারণে এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির মাত্রা হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩ সালে এটি আরও কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় কল্যাণমুখী নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) কলকাতায় ‘লিডারশিপ কনক্লেভ ২০২২’-এ মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। দিল্লীভিত্তিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডিয়া (অ্যাসোচেম) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
এতে ব্যবসায়িক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শতাধিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। রভি আগারওয়ালের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরও দুজন মোটিভেশনাল বক্তা বক্তব্য রাখেন। তারা হলেন- চাণক্য ফোরামের প্রধান সম্পাদক গৌরভ আর্য্য এবং আল্টিমেট ম্যানেজমেন্ট সল্যুশনের (ইউএমএস) ড. ভিক্রান্ত সিং তমার।
ড. আতিউর রহমান বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক এবং জাতীয় পর্যায়ের কর্মক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার যথাযথ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় বিশেষ লাভবান হতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলের দেশগুলো পারস্পরিক অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুলাংশে পিছিয়ে আছে বলে জানান তিনি।
ভারতের আমদানি বাজারের আরও এক শতাংশ যদি বাংলাদেশ থেকে যায়, তাহলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি চারগুণ বাড়তে পারে। তবে পারস্পরিক বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও পরিবহনের ব্যয় অনেক বেশি হওয়াটা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি প্রধানতম অন্তরায় বলে তিনি মনে করেন।
অ্যাসোচেম ১০২ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চেম্বার সংগঠন। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা সাড়ে চার লাখ।