ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানে রাজিব (২৫) নামের প্রেমিকের খপ্পরে পড়ে একাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া কলেজ ছাত্রী ধর্ষণে আট মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে ভিষ্টিম কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত রাজিব উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়র্ডের হারুন অর রশিদের ছেলে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত রাজিব গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
পুলিশ ও ভিষ্টিম কলেজ ছাত্রী সূত্রে জানাযায়, গত আট মাস আগে একসাথে কলেজে যাওয়ার জন্য বান্ধবী তৃপ্তির ঘরে যান সে। এসময় সেখানে বান্ধবী তৃপ্তির ভাই রাজিব ঘরে একা ছিলেন। খালিঘর থেকে কলেজ ছাত্রী চলে আসতে চাইলে অভিযুক্ত রাজিব তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময় রাজিব তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে ভিষ্টিম কলেজ ছাত্রী রাজিবের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ করতে না চাইলে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিক ধর্ষণ করেন। এতে ওই কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেন।
বিষয়টি রাজিবকে জানালে ছাত্রীকে ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে এক অপরিচিত মৌলভী দিয়ে বিয়ে করার নাটক তৈরী করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করেন। বেশ কিছুদিন পর ভিক্টিম কলেজ ছাত্রীর অস্বাভাবিক চলাফেরা দেখে তার মা বিষয়টি জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রী রাজিবের সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে জানান। পরে বিয়ের বিষয় ভিষ্টিম ছাত্রীর মা রাজিবের মাকে বাসায় ডেকে এনে পুরো ঘটনা জানালে তার ছেলে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজিবের আত্মীয়-স্বজনা ভিষ্টিমের পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লম্পট রাজিব নিজেকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
দৌলতখান থানার (ওসি) বজলার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভিষ্টিম নিজে বাদী হয়ে শনিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামী গ্রেপ্তারে অভিযানে রয়েছে।