লঞ্চের ভাড়া পুনর্নির্ধারণের জন্য সোমবার লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। রোববার লঞ্চ মালিকরা দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে। এরপরই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকের ঘোষণা আসে।
সোমবার (৮ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করবেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানান।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। সোমবার মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে ভাড়া সমন্বয় করা হবে।
এর আগে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘লঞ্চে এখনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি, তবে ভাড়া অবশ্যই বাড়বে। কত বাড়বে, কবে থেকে বাড়বে, সেটার প্রস্তাব বিআইডব্লিউটিএর কাছে পাঠানো হবে।
শনিবার দুপুরে জ্বালানি তেলের মৃল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত এক ব্যাখ্যায় বাস ও লঞ্চ ভাড়া বাড়ার বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যাত্রীবাহী লঞ্চে প্রতি কিলোমিটারে একজন যাত্রীর ভাড়া ২ টাকা ১৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে প্রতি কিলোমিটারে জ্বালানি খরচ বাড়বে ৯৯ পয়সা। সে হিসাবে কিলোমিটার প্রতি যাত্রীর লঞ্চ ভাড়া বাড়বে ৪২ পয়সা।
তবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসাবের ব্যাখ্যা মানতে নারাজ লঞ্চ মালিকরা।
মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশার চেয়ে ভাড়া আরও বাড়ানোর দাবি জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন লঞ্চ পরিবহন নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘বাসের হারে লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করলে চলবে না। আমাদের খরচ বেশি হয়। ভাড়া বৃদ্ধির হারটাও বেশি হতে হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তাব করব। ’