কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে যখম করেছে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে থানা মোড়ের গিনি ফার্মিসি নামক ওষুধ দোকানের সামনে। হামলার একটি সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাদী হয়ে রোববার (৭ আগস্ট) থানায় মামলা করেছেন। এদিকে ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় উলিপুর বণিক সমিতি ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার পৌর সদরে মাইকিং করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আটচল্লিশ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় তারা বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করবে।
আহত ব্যবসায়ীর নাম আলমগীর হোসেন (৩০)। তিনি পৌর শহরের জোনাইডাঙা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত যুবকের নাম মাসুম ওরফে মাসুদ রানা (৩৫)। তিনি পৌর এলাকার হায়াৎ খাঁ কুড়ারপাড় গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে আলমগীর হোসেন একটি ওষুধের প্রেসক্রিপশন বুঝে নিতে তার দোকান থেকে পাশের গিনি ফার্মেসিতে যান। এসময় মাসুম আকস্মিক ভাবে পেছন থেকে এসে একটি চাপাতি দিয়ে আলমগীরকে উপর্যপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত আলমগীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় গিনি ফার্মিসিতে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কি কারনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত নয়। রোববার আহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত মাসুম ওরফে মাসুদ রানার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা করেন।
আহত ওষুধ ব্যবসায়ী আলমগীরের বরাত দিয়ে তার স্ত্রী ফারজানা বলেন, যে যুবক আমার স্বামীকে কুপিয়েছে তাকে আমরা চিনি না। তার সাথে কিংবা অন্য কারও সাথে আমাদের কোনও শত্রুতা বা আর্থিক লেনদেনও নেই। ওই যুবক কেন আমার স্বামীকে এভাবে কুপিয়েছে তা আমরা জানি না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
উলিপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন মন্ডল দুলু জানান, প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ী সমাজ ক্ষুব্ধ। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আটচল্লিশ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। অন্যথায় হরতাল, মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির জানান, ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে আর্থিক কোন লেনদেনের বিষয় থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আসামী গ্রেপ্তার হলে সব কিছু জানা যাবে।