প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৪ হাফসেঞ্চুরি। উপরের সারির প্রথম চার ব্যাটারের পঞ্চাশোর্ধ স্কোরে তিনশ পেরোনো রান করেও জয় পায়নি টাইগাররা। সিরিজে সমতা ফেরানোর ম্যাচ ছিল গতকাল। ইনিংসে ছিল দুটি হাফসেঞ্চুরি। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেন টি-২০ সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তামিমের ৫০ ও মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ৮০ রানে ভর ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ। ২৯১ রানের টার্গেটেও জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসে এসেছে একাধিক ফিফটি। কিন্তু নেই কোনো সেঞ্চুরি। অথচ জিম্বাবুয়ের আছে চারটি সেঞ্চুরি। সঙ্গে একাধিক ক্যামিও ইনিংস। যা বড় ব্যবধান গড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে দুই দলের ব্যাটিং পার্থক্য সিরিজে জয়-পরাজয়ের কারণ।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তামিম বলেছেন, ‘পার্থক্য হচ্ছে জিম্বাবুয়ের দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি আছে। বাংলাদেশের একটিও নেই। আমরা সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছিলাম। আমাদের অনেকেই ভালো শুরু পেয়েছে কিন্তু কেউ বড় করতে পারিনি। উইকেট শুরু থেকেই ভালো ছিল। স্পিনারদের বিপক্ষেও ব্যাটিং করা কঠিন ছিল না।’
উইকেট যে ভালো ছিল তা প্রমাণ বাংলাদেশের শুরুর রানই। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ৬২। তামিম ৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন ফিফটি। তামিম আউট হওয়ার পরই বাংলাদেশের ইনিংস ব্যকগিয়ারে যাওয়া শুরু করে।
তামিম বাদে মাহমুদউল্লাহও পেয়েছেন ফিফটি। ৮৪ বলে করেছেন ৮০ রান। অথচ ফিফটিতে যেতে এ ব্যাটসম্যান খেলেন ৬৯ বল। শেষ ১৫ বলে ৩০ রান তুলে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে। জবাবে সিকান্দার রাজার ১১৭, রেগিস চাকাভার ১০২ রানে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
এর আগে, প্রথম ম্যাচে তামিম, লিটন, এনামুল ও মুশফিক ফিফটি পেয়েছিলেন। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়া। সঙ্গে বড় জুটিও গড়ে দিয়েছে পার্থক্য। প্রথম ওয়ানডেতে রাজা ও কাইয়া ১৮২ রানের জুটি গড়েছিলেন। আজ রাজা ও চাকাভা করেন ২০১ রানের জুটি।
নিজেদের মাঠে স্বাগতিকরা ভালো করায় তামিম তাদের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি, ‘জিম্বাবুয়েকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত। তারা ভালো দল বলেই সিরিজ জিতেছে। আমাদের নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে হবে। আমরা এখনও নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। এ জন্যই আজ এই অবস্থানে।’
৯ আগস্ট একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।