প্রতিবেশী এক নারীর সাথে দুর্ব্যহার ও তাকে নিয়ে কু-মন্তব্য করার অপরাধে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার (৮ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারের কাছে এই ‘বুলডোজার বিচার’ নতুন ঘটনা নয়। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের আগে থেকেই এই নীতি স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করে বিষয়টি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের নায়ডায় শ্রীকান্ত ত্যাগী নামের এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে আবাসনের ভেতর বেআইনি দখল এবং নির্মাণের অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে তার সাথে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে একজন নারীকে অপদস্থ করেন শ্রীকান্ত। ওই নারীকে নিয়ে কু-মন্তব্য করাসহ তাকে শারীরিকভাবেও নিগ্রহ করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
এরপর নারী-হেনস্থার অভিযোগে ওই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। পরে নয়ডার পুলিশও তার বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে অভিযোগ দায়ের করে। এই আইনের আওতায় অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দেয়ার এখতিয়ার আছে প্রশাসনের। ফলে সোমবার বুলডোজার দিয়ে তার বাড়িটি ভেঙে দেয়া হয়।
এর আগেও বুলডোজার দিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। সাধারণত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই বুলডোজার ব্যবহৃত হলেও যোগীর রাজ্যে অপরাধীদের শাস্তি দিতে এর ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে এই নীতি বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও প্রশ্ন উঠছে ধর্ষণ ও আরও বড়বড় অপরাধের ক্ষেত্রেও কেনো ব্যবহার করা হয় না বুলডোজার?