আফগানিস্তান ছাড়ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু ও শিখদের ভারতে আশ্রয় দিতে কাজ করছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। গেলো কয়েক মাসে দিল্লিতে পাড়ি জমিয়েছে কমপক্ষে ৮০ জন সংখ্যালঘু। দেশত্যাগের অপেক্ষায় আরও অর্ধশতাধিক। খবর এনডিটিভির।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশ আফগানিস্তানে বাস হাতে গোনা কিছু হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীর। সম্প্রতি চরম সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হওয়ার অভিযোগ তাদের। বলছেন, তালেবান ক্ষমতা পুনর্দখলের সাথে সাথে বেড়েছে অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতা। এতে বেড়েছে তাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে ছাড়ছেন জন্মভূমি।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন বললেন, তালেবান সরকারের কট্টর শাসনের পাশাপাশি এখানে আরও অনেক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশের শিখদের টার্গেট করে হামলা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই, সরকারের সুনাম নষ্ট করা আর ক্ষমতা দখল করা।
আরেকজন বললেন, আমরা ওখানে অসহায়। শিখদের সব গুরুদুয়ারা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
২০২০ সালে আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ৭০০ জন। বর্তমানে এই দুই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে। মার্কিন বাহিনী দেশটি ছাড়ার পর সংখ্যালঘুদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। আফগানিস্তান থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংগঠন। গেলো কয়েকমাসে তাদের প্রচেষ্টায় দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আফগানিস্তানে প্রায় ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীই মুসলিম। বাকি ০.৩ শতাংশ ছিল হিন্দু, শিখ ও খিস্টান ধর্মাবলম্বী।