টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই দুর্বল দল বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটের খেলার ধরনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত মানিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। কেবল টি-টোয়েন্টি নয় আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বাংলাদেশ।
এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে কোচদের ভূমিকা দেখছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, এখনকার কোচিং প্যানেলের সবার নিবেদন থাকলেও তারা আক্রমণাত্মক নন। বিশেষ করে টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জ্ঞানের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও সাবেক কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের মতো আক্রমণাত্মক নন।
বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার অভাব সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে দেখা গেছে। সিরিজে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা রয়েসয়ে খেলার চেষ্টা করছে অপরদিকে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে খেলেছে ভয়ডরহীন ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারদের আক্রমণাত্মক মানসিকতার কাছেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা উইকেট হারালেও নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখে প্রয়োজনীয় আক্রমণ করে গেছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক রেজিস চাকাভা ৪৯ রানে ৪ উইকেট না থাকা অবস্থায় এসেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছেন। ৫৪ ম্যাচ পর ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলেছেন দলের ওই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকেই। তাও জিম্বাবুইয়ানদের জন্য দ্রুততম শতক ছিল সেটি।
বাংলাদেশের বর্তমান কোচিং প্যানেল নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এখনকার সাপোর্ট স্টাফের নিবেদন অনেক কিন্তু তাদের কোচিং করানোর ধরন হয়ত ভিন্ন। কিছু কোচ আছে আক্রমণাত্মক, কিছু কোচ তেমন নয়। আমরা চান্দিকা হাথুরুসিংহের কথা বলতে পারি। সে অনেক আক্রমণাত্মক কোচ ছিল। যা আমাদের দরকার। আমাদের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অনেক জানাশোনা এবং জ্ঞানী একজন কোচ। কিন্তু তিনি আক্রমণাত্মক নন। আমরা আগ্রাসী মনোভাব চাই।
আমরা বিশ্বাস করি, তিনি ক্রিকেটারদের সঠিকভাবেই অনুপ্রাণিত করতে পারেন। তাদের মাঠে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলতে বলতে পারেন। তাহলেই মনে হয় পার্থক্যটা ফুটিয়ে তোলা যাবে। আসলে আমাদের এমন একজন লাগবে যিনি আমাদের স্লো ক্রিকেট থেকে এগ্রেসিভ ক্রিকেটে খেলতে সাহায্য করতে পারেন। এখনকার টি-টোয়েন্টি এভাবেই খেলা হয়ে থাকে।
আমাদের কোচরা অনেক পেশাদার এবং দক্ষ। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের এই আগ্রাসী ক্রিকেট বিষয়ক আলোচনা করতে হবে। আমরা কেবল একটা ইচ্ছার উপর তাদের পরিবর্তন করতে পারি না। তাদের পরিকল্পনাও জানতে হবে আমাদের।’
আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রত্যাশায় কোচদের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসতে চাচ্ছে বিসিবি। এশিয়া কাপের আগে কোচদের ছুটিতে থাকার কথা থাকলেও বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করতে এশিয়া কাপের আগে দেশে আসবেন কোচরা।
জালাল ইউনুস এই বিষয়ে জানিয়ে গণমাধ্যমে বলেন, ‘তারা খুব সম্ভবত ১৯ আগস্ট দেশে আসবে। আমরা এর পরের দিন বসতে পারি। আমাদের সামনের বছরের ইংল্যান্ড সিরিজ (২০২৩ সালের মার্চ) পর্যন্ত একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে চাই।