মহররম মাসের ১০ তারিখ ইসলামের ইতিহাসে শোকের। যা মুসলমানরা আশুরার দিন হিসেবে পালন করে। মহররমের ১০ তারিখে ইমাম হোসেন (রা.) কারবালার ময়দানে শহীদ হয়েছেন। মুসলমানদের মধ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন ইমাম হোসেন (রা.) এর শোক স্মরণে রাস্তায় ঘুরে মিছিল বা মাতম করে। রাজধানীর ইমামবাড়া হোসেনী দালান থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও শিয়া মুসলমানরা তাজিয়া মিছিল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর হোসেনি দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি আজিমপুর-নিউমার্কেট হয়েছে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে শেষ হবে। তাজিয়া মিছিল শুরুর আগে মহড়া দিয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন।
সরেজমিন দেখা যায়, মিছিলে উপস্থিত বেশিরভাগই কালো পাঞ্জাবি পরে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম করছে। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারও দেখা গেছে মিছিলে। মূল আয়োজনের রয়েছে হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি।
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া এবং এর আশেপাশের শিয়া সম্প্রদায় কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিলকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর এই নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।সকালে রাজধানীর হোসানী দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া ও এর আশেপাশের শিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্কাবস্থানে রয়েছেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন র্যাব সদস্যরাও।
অন্যদিকে, সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ ও র্যাব।
চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্তরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।