প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দর বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া গেছে ৬ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। ফলে এই ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার কেনাবেচার তথ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে দর বৃদ্ধির প্রমাণ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছয়টি ব্যাংকের কোনো কোনোটি ডলার কেনাবেচা করে গত মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে বলে প্রমাণ মেলে। এর মাধ্যমে ডলার বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছয় ব্যাংকের এর মধ্যে পাঁচটি দেশি এবং একটি বিদেশি ব্যাংক।
দেশি পাঁচ ব্যাংক হচ্ছে- ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক,সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকটি হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেজারি অপারেশনে অতিরিক্ত মুনাফা করায় পাঁচটি দেশি ও একটি বিদেশি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমেছে। সোমবার (৮ আগস্ট) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি মার্কিন ডলার ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও রোববার এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায়। তারপরও চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এর আগে ২৭ জুলাই খোলা বাজারে সর্বোচ্চ দরে ডলার বিক্রি হয় ১১২ টাকায়।