একই দিনে দুই মঞ্চে নেচে ঝড় তুলেছেন দুই দেশের চিত্রনায়ক সালমান খান ও জায়েদ খান। একসময় বাংলাদেশের তারকা জায়েদকে ‘গরিবের সালমান’ বলে আখ্যা দিতেন অন্তর্জালবাসী। কারণ, সালমান যে ব্রেসলেট পরেন, একই রকম ব্রেসলেট পরতেন জায়েদ। এখন অবশ্য সেই ব্রেসলেট আর পরেন না এ অভিনেতা।
গতকাল (৮ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের সুপারস্টার সালমান খান। রাতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নেচেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরেক তারকা ক্যাটরিনা কাইফ। এর আগে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নেচেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তাঁর সঙ্গে নাচেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
সালমান খানের সঙ্গে একসময় প্রেমের গুঞ্জন ছিল ক্যাটরিনা কাইফের। অন্যদিকে, ঢালিউডের বাতাসে মাহিয়া মাহির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ছিল জায়েদ খানের। সেসব এখন অতীত। মিল একটু তো আছেই!
যা হোক, সালমান খানকে ভালোবেসে তাঁরই মতো হাতে ব্রেসলেট পরতেন জায়েদ খান, যে কারণে ‘গরিবের সালমান খান’ বলে তাঁকে আখ্যা দিতেন নেটিজেনরা।
যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁরা গুণী শিল্পীদের ফ্যাশন অনুসরণ করেন। নিজের আইকন মনে করেন কোনো কোনো তারকাকে। তেমনি সালমান খানকে পছন্দ করেন জায়েদ খান। সালমানের অভিনয় তাঁকে মুগ্ধ করে। যে কারণে সালমান খান যে ব্রেসলেটটি পরেন, একই রকম দেখতে ব্রেসলেট বেশ কিছুদিন পরেছেন জায়েদ।
আজ (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি অভিনয় পেশাকে বেছে নিয়েছি গুণী বেশ কিছু শিল্পীর অভিনয় দেখে। এর মধ্যে দেশের বাইরে অন্যতম সালমান খান। উনার অভিনয় আমার সব সময় ভালো লাগে। দেশের বাইরে তিনি আমার আইকন। আবার দেশের মধ্যে নায়করাজ রাজ্জাক ভাই, মিয়াভাইখ্যাত ফারুক ভাই, আলমগীর ভাইয়ের অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করে। বলতে গেলে, উনাদের অভিনয় দেখেই নিজের মধ্যে অভিনয়ের খিদে জন্ম নেয়।’
সালমান খানের মতো ব্রেসলেট পরা প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, ‘আসলে আমার এক বড় ভাই আমাকে ভালোবেসে একটি ব্রেসলেট উপহার দেন। সেটি সালমান খান যে ব্রেসলেটটি পরেন, সে রকমই। যেহেতু আমি নিজে সালমান খানের ফ্যান (ভক্ত), সে কারণে আমি বেশ কয়েক দিন সেটি পরেছিলাম। সে তিন বছর আগের কথা।’
কিন্তু যে কদিনই ব্রেসলেট পরেন না কেন, তারই মধ্যে জায়েদ খানের ভক্তরা ‘গরিবের সালমান’ বলে আখ্যা দিয়ে দেন। এ নিয়ে অন্তর্জালে কম কথা হয়নি।
‘গরিবের সালমান’ আখ্যা প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, ‘আমি জানি, অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে ট্রল (কটাক্ষ) করেন। অবশ্য এ নিয়ে আমি একেবারেই ক্ষুব্ধ নই। কারণ, আমরা যাঁরা চলচ্চিত্র বা মিডিয়ায় কাজ করি, আমাদের সারা দেশের মানুষ চেনেন বা পছন্দ করেন। যে কারণে আমাদের নিয়ে ট্রল করেন কিছু মানুষ। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সালমান খানকে নিয়েও কিন্তু ট্রল হয়। কিছু লোক বিষয়টি নেগেটিভ (নেতিবাচক) মনে করলেও আমি বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করি। অপরিচিত কাউকে নিয়ে তো আর মানুষ ট্রল করে না।’
২০০৬ সালে বরেণ্য পরিচালক মহম্মদ হাননান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবি দিয়ে ঢালিউডে পা রাখেন জায়েদ খান। গত বছর মালেক আফসারী পরিচালিত ‘অন্তরজ্বালা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হন। ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন আলোচিত নায়িকা পরী মণি।