গুড়ার সদর উপজেলায় জব্দকৃত সার বিক্রি করে সেই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসঙ্গে মজুদ করা সার গুদামের ব্যবস্থাপককে আটক করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (০৮ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল।
আটককৃত ব্যবস্থাপকের নাম আজিজুল হক সাজু (৩০)। তিনি বগুড়া কাহালু উপজেলার সমন্তাহার পোড়াপাড়ার মৃত রহমতুল্লা প্রামাণিকের ছেলে।
ইউএনও জানান, রোববার (০৭ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় অবৈধভাবে সার মজুদ করার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। সেসময় সারের মালিক ও গুদামের ব্যবস্থাপক পালিয়ে যান। এ কারণে গুদাম ভর্তি (১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা) ইউরিয়া ও ডিএপি সার জব্দ করে গুদামটি সিলগালা করা হয়।
এদিকে সোমবার বিকেলে ওই গুদামের ব্যবস্থাপক সেখানে অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে পুনরায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যবস্থাপকের নাম আজিজুল হক সাজু। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার সমন্তাহার পোড়াপাড়ার মৃত রহমতুল্লা প্রামাণিকের ছেলে। আটকের পর তিনি দোষ স্বীকার করায় সার ব্যবস্থাপনা আইনে (বিধি বহির্ভূতভাবে সার গুদামজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিপণন, পরিবহন ও বিপণন) তার ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া জব্দকৃত সার সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সার বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত ওই গুদামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত গুদাম ব্যবস্থাপক তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা জমা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন সদর ইউএনও।