ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৬ বছর কাটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ শ্রীলঙ্কার তাইরন ফার্নান্দো স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো পঞ্চাশ ওভারের আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে পা রাখে বাংলাদেশ।
এরপর গত ৩৬ বছর ধরে এখন পর্যন্ত ৩৯৯ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ফেলেছে টাইগাররা। আজ (১০ আগস্ট) হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করার ম্যাচে অবশ্য কঠিন পরীক্ষার সামনে রয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই ওয়ানডে সিরিজ হেরে গেছে তামিম ইকবালের দল। সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে হেরে গেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ বছর পর হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পাবে বাংলাদেশ। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে ২০০১ সালে সর্বশেষ কোনো ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অভিষেক ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করেছিল দল। হেরেছিল নিজেদের ৫০তম ম্যাচও। তবে ওয়ানডেতে নিজেদের শতক ছোঁয়ার ম্যাচে ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ১৫ রানের জয় দেখেছিল টাইগাররা। এরপর নিজেদের ১৫০তম এবং ২০০তম ম্যাচেও জয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
এরমধ্যে ১৫০তম ম্যাচে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে দলটিকে ছিটকে দিয়েছিল তখনকার বাংলাদেশ। এরপর ২০০তম ম্যাচে ওয়াস্ট ইন্ডিজের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল টাইগাররা।
তবে ২৫০তম এবং ৩০০তম ম্যাচে হারের তিক্ততায় শেষ করতে হয় বাংলাদেশকে। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৫০তম ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হার ছিল বাংলাদেশের ৩০০তম ম্যাচ।
পরবর্তী ফিফটি ছোঁয়ার ম্যাচে আবারও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। নিজেদের ৩৫০তম ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় দেখেছিল টাইগাররা। নিজেদের ৪০০তম ম্যাচে আবারও সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এবারও জয়ে নিজেদের কোয়াড্রাপল সেঞ্চুরির ম্যাচ রাঙাতে চাইবে তামিমের দল।