ভূমধ্যসাগরে আবারও তেল অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্ক নতুন একটি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ তৈরি করেছে। তারা সেই জাহাজ সাইপ্রাসের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে পাঠাবে।
জাহাজটি সমুদ্রে ড্রিল করবে। এই জাহাজের নাম আব্দুলহামিদ হান। এটাই সমুদ্রতলে তেল ও গ্যাসের খোঁজ করার জন্য তুরস্কের সবচেয়ে বড় জাহাজ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেয়েপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে গাজিপাসা সৈকত থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি তেল ও গ্যাসের খোঁজ করবে।
তুরস্কের অন্য জাহাজগুলি কৃষ্ণসাগরে তেল ও গ্যাসের খোঁজ চালাচ্ছে। তারা সেখানে একটি গ্যাসের ভাণ্ডার পেয়েছে।
তুরস্ক তাদের প্রয়োজনের তেল ও গ্যাসের প্রায় পুরোটাই আমদানি করে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। তাই এরদোগানও তেল অনুসন্ধানের উপর জোর দিয়েছেন। গতবছর তারা ৪৫ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করেছিল।
এরদোগান বলেছেন, এই নতুন ড্রিলিং জাহাজ হলো শক্তিক্ষেত্রে তুরস্কের নতুন ভিশন। তিনি জানিয়েছেন, ”যত তাড়াতাড়ি আমরা তেল ও গ্যাস খুঁজে পাব, ততই আমাদের সুবিধা হবে। তেল ও গ্যাসের জন্য অন্য দেশের উপর থেকে নির্ভরতা কমবে।”
এরদোগানের দাবি, তিনি যেখানে জাহাজ পাঠাচ্ছেন, তা বিবাদিত এলাকা নয়। তাই এই জাহাজটি যতক্ষণ তেল ও গ্যাস খুঁজে না পাচ্ছে, ততদিন ড্রিলিংয়ের কাজ চালিয়ে যাবে।
কিন্তু সাইপ্রাস এই দাবি মানতে চাইছে না। তাদের দাবি, যে জায়গায় এরদোগান জাহাজ পাঠাচ্ছেন তা বিবাদিত এলাকা।
কিন্তু এরদোগান বলেছেন, তেল ও গ্যাসের সন্ধান চালানো তাদের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেজন্য কারো কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার প্রশ্নই নেই। তাদের এই ড্রিলিং চালানো থেকে কেউ রুখতে পারবে না।
ন্যাটোর সদস্য দেশ গ্রিসও দাবি করে এরদোগান যে জায়গায় তেল ও গ্যাসের খোঁজ করছেন, সেটা তাদের এলাকা নয়। তারা কথা না বলে, সেখানে এই অনুসন্ধান চালাতে পারে না।
এর আগে ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে গ্রিসের বিরোধ চরমে উঠেছিল।
সূত্র: আল-জাজিরা।