ভোটের মাধ্যমে নয়, গণবিস্ফোরণের মাধ্যমেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের পতন ঘটানো হবে। নতুন গঠিত রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক আ স ম আবদুর রব এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটযুদ্ধে বা জনগণের কাছে এ জোটের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে নতুন এ জোট রাজনীতির মাঠে কী প্রভাব রাখবে? ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন কি আনতে পারবে? আগামী নির্বাচনে ভোটের মাঠে তাদের ভূমিকাটাই বা কী হবে? উত্তর মিলল, আ স ম আবদুর রবের কথায়। বললেনঃ বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে চায় গণতন্ত্র মঞ্চ। আর এ যুদ্ধে ভোটের আগে বিএনপিসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল যুক্ত হওয়ার আভাসও দিলেন তিনি।
আ স ম আবদুর রব বলেন, প্রয়োজনে যা যা দরকার সবই করা হবে। ২০২৩ ডিসেম্বর বা ২০২৪-এর ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা; নির্বাচনের আগেই এ সরকারকে চলে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে যত রকম আন্দোলন আছে, সবই করা হবে এবং তাদেরকে (বর্তমান সরকার) চলে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। আন্দোলন শুরু হলে তারা (বর্তমান সরকার) পালানোর রাস্তা পাবে না।
তবে নতুন এ জোট নিয়ে মোটেই ভাবছে না আওয়ামী লীগ। তারা বলছেন, কর্মীবিহীন জোটের আন্দোলন নিয়ে তারা চিন্তিত নন।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘অল জিরো প্লাস জিরো; জিরো প্লাস জিরো যোগ করলে জিরোই হবে। এরা আন্দোলন কতটুকু করবে না করবে, কতটুকু এদের আন্দোলন সফলকাম হবে, সেটা সময় বলে দেবে। ওইসব দলের আন্দোলনের হুমকিকে আমরা কোনো সময় খুব বেশি গুরুত্ব দেই না।’
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে জোট গঠন নতুন কিছু নয়। গণতন্ত্র মঞ্চ ভোটযুদ্ধে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে কি না, সে বিষয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা ধরার মধ্যে নিলাম এর বাইরে তাদের সঙ্গে অন্য যে দলগুলো আছে সেগুলো হচ্ছে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল। সরকার পরিবর্তনে এ জোটের প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না।’
জোট নেতাদের পরিচিতি রাজধানীর বাইরে না থাকায় বেশিদূর যেতে পারবে না গণতন্ত্র মঞ্চ- এমন মন্তব্যও করেন তারা ।