ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) সভাপতি শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেছেন, সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। এদের মধ্যে একজন হলেন- জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি কুইক রেন্টালের তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।
এনডিএফ সভাপতি বলেন, ২০১০ সালের পরিপ্রেক্ষিতে কুইক রেন্টাল দরকার ছিল। সেই চুক্তি ছিল ৩ বছরের জন্য। কিন্তু সেই চুক্তি এখনো বর্তমানে আছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও এর নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএফ মানববন্ধনটির আয়োজন করে।
শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, সরকার নতুন নতুন কুইক রেন্টালের অনুমতি দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরকার প্রদান করেছে। এই ৭৫ হাজার কোটি টাকা দশটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি কোম্পানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ওই কোম্পানির মালিক সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
তিনি ছালু আরও বলেন, জ্বালানি তেল এমন একটি পণ্য, যার প্রভাব প্রতিটি পণ্যের ওপর পড়বে। পরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্যের চাপে মধ্যবিত্ত মানুষগুলো আজ অসহায়। আওয়ামী-লীগের বড় বড় নেতারা ও শিল্পপতিরা এবং সরকারি আমলারা ডলার কিনে জমা রাখছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডলারের সংকট। ৯৫ টাকার ডলার এখন ১১৫ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না।
দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি করে তিনি বলেন, সরকার এত দিন বলেছে ডলারের সংকট নেই। বাংলাদেশে, শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। কিন্তু এখন আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আইএমএফের লোন পেতে ছুটাছুটি করছে। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় তিনি অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এনপিপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মন্ডল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ও এনডিএফের সদস্য সচিব এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই সরকার, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান দেওয়ান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, এনপিপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।