জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে ফলের বাজারে। ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই ফলের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে দেখা যায়, দেশি মৌসুমি ফল ছাড়া আমদানিকৃত প্রায় সব ফলের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা এখন আমদানিকৃত গ্রিন আপেল কেজি প্রতি বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। যা তেলের দাম বাড়ার আগে ছিল ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। ফুজি আপেল কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। মাল্টার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২১০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
রাজধানীর হাতিরপুলের এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারণে ফলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে যে ফলের দাম ছিল ২৫০ টাকা, তা এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু টাকা নেই। সরকার যদি শুল্ক কমায় তাহলে হয়তো দাম কমতে পারে।
নিউমার্কেটে ফল কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমার বাসায় বাচ্চা আছে। ওর জন্য নিয়মিত ফল কিনতে হয়। আজ বাজারে এসে দেখি অনেক দাম। গত চারদিন আগে আমি আপেল নিয়েছিলাম ২৫০ টাকায়, আজ ৩৫০টাকার নিচে বিক্রি করবে না। আমি গত ১০ বছরেও আপেলের এত দাম দেখিনি।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ফলের বাজার রজধানীর পুরান ঢাকার বাদামতলী। এখারকার ফল ব্যবসায়ী শাহাদাত মোল্লা বলেন, আপেল, কমলা ও মাল্টার আমদানি তুলনামূলক কম। ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে এখন নতুন করে যোগ হয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে ফলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৩৪ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। যা ওইদিন রাত ১২টার পর থেকেই কার্যকর হয়েছে।