জিম্বাবুয়ে সফরে এবার সমান তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। দুই ফরম্যাটের সিরিজেই ২-১ ব্যবধানে হারে টাইগাররা। ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল জিম্বাবুয়ে। তাই শেষ ম্যাচ টাইগারদের জন্য ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। সেই মিশনে ভালোভাবেই পাশ করে তামিম ইকবালের দল।
যদিও তিন ওয়ানডের মধ্যে এই ম্যাচেই স্কোরকার্ডে সর্বনিম্ন রান তোলে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও হার দেখে টাইগাররা। এই ম্যাচে ২৫৬ রান করে তাই খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালও।
ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, আপনি যখন ৩০০ রান করেও ম্যাচ হারেন, তখন আড়াইশো রান দুইশো রানের মতো মনে হয়। ভাগ্যক্রমে আমরা দ্রুতই প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিতে পেরেছিলাম। যা আমাদের জয় পেতে সাহায্য করেছে।
৮৪ রান করে এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আফিফ হোসেন। তার সম্পর্কে তামিম যোগ করেন, আফিফ যেভাবে ব্যাট করেছে, তা দেখা চোখের জন্য প্রশান্তির। সে বলগুলো ভালো টাইমিং করতে পেরেছে। এক কথায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে ও।
এবাদতের দেরিতে দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যেন খানিকটা অবাকই হয়েছেন তামিম। বলেছেন, সে দীর্ঘদিন ধরেই দলের সাথে আছে। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি, সে একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ভাগ্যক্রমে সে শেষ ম্যাচে একাদশে ছিল এবং পারফর্মও করেছে।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে ১৫১ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
সূত্র: ক্রিকবাজ।