শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্তই নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের একটি অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে করা চুক্তি করে না আসলে তার সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্কের ইতি টানবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরজন্য তাকে এক দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। সংবাদ সম্মেলনের এমনটাই বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাকিবের সেই চুক্তি নিয়ে আগের মতোই নিজেদের অবস্থানের কথা জানান বিসিবি সভাপতি, ‘সাকিবের ব্যাপারে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই। শুরু থেকেই বিসিবি বলে আসছি এসব ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। যে যেভাবেই এটার ব্যাখ্যা দিক না কেন, কোনোভাবেই এটা মেনে নেওয়া যাবে না। এটার কোনো সুযোগই নাই। তখন এরজন্য আমাদের আশরাফুলের মতো খেলোয়াড়কেও বাদ দিতে হয়েছে।’
শেষ পর্যন্ত যদি সাকিব সরে না আসেন তাহলে কি হতে তার ব্যাখ্যায় পাপন আরও বলেন, ‘এটা তার ব্যাপার। আমরা একটা চিঠি দিয়েছি। এটা আজকের মধ্যে পাওয়ার কথা। কালকের মধ্যেই পাওয়ার কথা ছিল। শুনেছি সে আজ উত্তর দিবে বলেছে। তাই আজ আমরা অপেক্ষা করব। এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব সে থাকবে কি থাকবে না।’
গত ২ আগস্ট অনলাইন জুয়ার সাইট বেটউইনারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজ পোর্টালের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব। জুয়া সম্পর্কিত কোনোকিছুর সঙ্গে যুক্ত হওয়া বিসিবির নিয়মনীতি ও দেশের আইনের বিরোধী। কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে আইসিসি থেকেও।
মাদক, জুয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার নিয়ম নেই বিসিবির। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদেরও একই নিয়ম অনুসরণের বাধ্যবাধকতা আছে। তাই বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা হলেও শুরু থেকেই সাকিবের চুক্তির বিপরীতে শক্ত অবস্থানে ছিল বোর্ড।